দেবী জগদ্ধাত্রী , দূর্গা দেবীর অপর রূপ। উপনিষদে এর নাম উমা হৈমবতী। হিন্দু বাঙালির ধর্মীয় মানসে রাজসিক দেবী দুর্গা ও তামসিক দেবী কালীর পরেই স্থান সত্ত্বগুনের দেবী জগদ্ধাত্রীর। জগদ্ধাত্রী শব্দের আভিধানিক অর্থ ... জগৎ + ধাত্রী। জগতের ( তিন ভুবনের ) ধাত্রী (ধারনকর্তী, পালিকা।
পুরান মতে মহিষাশুর বধের পর দেবতারা উল্লাসে মেতে উঠেছিলেন। তাঁরা ভেবেছিলেন , দূর্গা যেহেতু তাঁদেরই সন্মিলিত শক্তির প্রকাশ, তাই অসুরের বধ হয়েছে তাঁদেরই যুগ্ম শক্তিতে। ব্রহ্মার বরের সন্মান রক্ষা করতে কেবল ওই নারীদেহটির আবশ্যিকতা। তাঁদের ওই গর্ব দেখে পরমেশরী দেবী একটি তৃণখন্ড অলখ্য থেকে ছুড়লেন দেবতার দিকে। পরীক্ষা করতে চাইলেন তাঁদের শক্তি। ইন্দ্র বজ্র দ্বারা সেই তৃন ধ্বংস করতে ব্যর্থ হলেন। অগ্নি সেই তৃন দহন করতে পারলেন না। বায়ু অসমর্থ হলেন তা উড়িয়ে নিয়ে যেতে। বরুনের শক্তি সেই তৃনটুকুর একটি অংশও জলস্রোতে প্লাবিত করতে পারল না। দেবতাদের এই অবস্থা দেখে তাঁদের সামনে আবির্ভূতা হলেন এক পরমাসুনদরী সালাঙকারা চতুর্ভুজা মূর্তি। তিনিই জগদ্ধাত্রী। জগদ্ধাত্রী এভাবে আবির্ভূতা হয়ে দেবতাদের বুঝিয়ে দিলেন.... তিনিই এই জগতের ধারনী শক্তি।
দেবী জগদ্ধাত্রীর পূজা অনুষ্ঠিত হয় দূর্গা পূজার ঠিক এক মাস পর কার্তিক মাসের শুক্লা নবমীতে। জগদ্ধাত্রী পূজা তান্ত্রিক পূজা। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী এই তিন দিন দেবীর পূজা হয়ে থাকে।
জগদ্ধাত্রী দেবী ত্রিনয়না, চতুর্ভুজা ও সিংহবাহিনী। তাঁর হাতে শঙ্খ, চক্র, ধনুক ও বান। গলায় নাগযজোগ উপবীত। প্রতিমার বাহন সিংহের পদতলে একটি হস্তীমুন্ড থাকে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে দেবী করীন্দাসুর অর্থাৎ মহাহস্তী রূপী অসুরকে বধ করেছিলেন। এই কারনে দেবী জগদ্ধাত্রী করীন্দাসুরনিসূদিনী নামে পরিচিত।
জগদ্ধাত্রী পূজা বাঙালি হিন্দু সমাজের একটি বিশিষ্ট উৎসব হলেও , দূর্গা বা কালী পূজার তুলনায় এই পূজার প্রচলন অপেক্ষাকৃত আধুনিক কালে ঘটে। অষ্টাদশ শতকে নদিয়ারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায় তাঁর রাজধানী কৃষ্ণনগরে এই পূজো প্রচলন করার পর এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।
কিংবদন্তি অনুসারে নবাব আলিবর্দীর রাজত্ব কালে মহাবদজঙগ্ রাজার নিকট থেকে বারো লক্ষ টাকা নজরানা দাবি করে। নজরানা দিতে অপারগ হলে তিনি রাজাকে বন্দী করে মুর্শিদাবাদ নিয়ে যান। মুক্তির পর নদী পথে কৃষ্ণনগরে প্রত্যাবর্তনের সময় ঘাটে বিজয়া দশমীর বাজনা শুনে তিনি বুঝতে পারেন সেই বছর দূর্গা পূজার কাল উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। দূর্গা পূজার আয়োজন না করতে পেরে রাজা অত্যন্ত দুঃখিত হন। সেই রাতে দূর্গা জগদ্ধাত্রী রূপে রাজাকে সপ্নে পরবর্তী শুক্লা নবমী তিথিতে জগদ্ধাত্রী পুজো করার আদেশ দেন। রাজবাড়ীর জগদ্ধাত্রী পূজার সূচনা হয় ১৭৬৬ সালে। আর এই কৃষ্ণনগর রাজবাড়ীর পূজো দেখে মুগ্ধ হয়ে ইন্দ্র নারায়ন চন্দননগরের লক্ষ্মী গঞ্জে চাউল পট্টিতে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন করেন। এই পূজো চন্দননগরে আদি পূজো নামে পরিচিত।
তারকেশ্বরের চক্রবর্তী পরিবারের বহু প্রাচীন এই জগদ্ধাত্রী পুজো। আগে ঘটে পটে পূজো হলেও এখন মূর্তি করে দেবীর আরাধনা করা হয়। নীচে এবারের পূজোর কিছু ছবি।
পুরান মতে মহিষাশুর বধের পর দেবতারা উল্লাসে মেতে উঠেছিলেন। তাঁরা ভেবেছিলেন , দূর্গা যেহেতু তাঁদেরই সন্মিলিত শক্তির প্রকাশ, তাই অসুরের বধ হয়েছে তাঁদেরই যুগ্ম শক্তিতে। ব্রহ্মার বরের সন্মান রক্ষা করতে কেবল ওই নারীদেহটির আবশ্যিকতা। তাঁদের ওই গর্ব দেখে পরমেশরী দেবী একটি তৃণখন্ড অলখ্য থেকে ছুড়লেন দেবতার দিকে। পরীক্ষা করতে চাইলেন তাঁদের শক্তি। ইন্দ্র বজ্র দ্বারা সেই তৃন ধ্বংস করতে ব্যর্থ হলেন। অগ্নি সেই তৃন দহন করতে পারলেন না। বায়ু অসমর্থ হলেন তা উড়িয়ে নিয়ে যেতে। বরুনের শক্তি সেই তৃনটুকুর একটি অংশও জলস্রোতে প্লাবিত করতে পারল না। দেবতাদের এই অবস্থা দেখে তাঁদের সামনে আবির্ভূতা হলেন এক পরমাসুনদরী সালাঙকারা চতুর্ভুজা মূর্তি। তিনিই জগদ্ধাত্রী। জগদ্ধাত্রী এভাবে আবির্ভূতা হয়ে দেবতাদের বুঝিয়ে দিলেন.... তিনিই এই জগতের ধারনী শক্তি।
দেবী জগদ্ধাত্রীর পূজা অনুষ্ঠিত হয় দূর্গা পূজার ঠিক এক মাস পর কার্তিক মাসের শুক্লা নবমীতে। জগদ্ধাত্রী পূজা তান্ত্রিক পূজা। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী এই তিন দিন দেবীর পূজা হয়ে থাকে।
জগদ্ধাত্রী দেবী ত্রিনয়না, চতুর্ভুজা ও সিংহবাহিনী। তাঁর হাতে শঙ্খ, চক্র, ধনুক ও বান। গলায় নাগযজোগ উপবীত। প্রতিমার বাহন সিংহের পদতলে একটি হস্তীমুন্ড থাকে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে দেবী করীন্দাসুর অর্থাৎ মহাহস্তী রূপী অসুরকে বধ করেছিলেন। এই কারনে দেবী জগদ্ধাত্রী করীন্দাসুরনিসূদিনী নামে পরিচিত।
জগদ্ধাত্রী পূজা বাঙালি হিন্দু সমাজের একটি বিশিষ্ট উৎসব হলেও , দূর্গা বা কালী পূজার তুলনায় এই পূজার প্রচলন অপেক্ষাকৃত আধুনিক কালে ঘটে। অষ্টাদশ শতকে নদিয়ারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায় তাঁর রাজধানী কৃষ্ণনগরে এই পূজো প্রচলন করার পর এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।
কিংবদন্তি অনুসারে নবাব আলিবর্দীর রাজত্ব কালে মহাবদজঙগ্ রাজার নিকট থেকে বারো লক্ষ টাকা নজরানা দাবি করে। নজরানা দিতে অপারগ হলে তিনি রাজাকে বন্দী করে মুর্শিদাবাদ নিয়ে যান। মুক্তির পর নদী পথে কৃষ্ণনগরে প্রত্যাবর্তনের সময় ঘাটে বিজয়া দশমীর বাজনা শুনে তিনি বুঝতে পারেন সেই বছর দূর্গা পূজার কাল উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। দূর্গা পূজার আয়োজন না করতে পেরে রাজা অত্যন্ত দুঃখিত হন। সেই রাতে দূর্গা জগদ্ধাত্রী রূপে রাজাকে সপ্নে পরবর্তী শুক্লা নবমী তিথিতে জগদ্ধাত্রী পুজো করার আদেশ দেন। রাজবাড়ীর জগদ্ধাত্রী পূজার সূচনা হয় ১৭৬৬ সালে। আর এই কৃষ্ণনগর রাজবাড়ীর পূজো দেখে মুগ্ধ হয়ে ইন্দ্র নারায়ন চন্দননগরের লক্ষ্মী গঞ্জে চাউল পট্টিতে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন করেন। এই পূজো চন্দননগরে আদি পূজো নামে পরিচিত।
তারকেশ্বরের চক্রবর্তী পরিবারের বহু প্রাচীন এই জগদ্ধাত্রী পুজো। আগে ঘটে পটে পূজো হলেও এখন মূর্তি করে দেবীর আরাধনা করা হয়। নীচে এবারের পূজোর কিছু ছবি।