Saturday, 11 May 2019

শ্রী শ্রী জয়চন্ডী মন্দির, হাট বসন্ত পুর, হুগলি।

শ্রী শ্রী জয়চন্ডী মন্দির, গ্রাম - হাটবসন্ত পুর, জেলা - হুগলি।

মন্দিরটি ১৭৩৪ খীষটাবদে ( ১৬৫৬ শকাবদে ) নির্মিত। অর্থাৎ ২৮৫  বছরের পুরনো। মন্দিরের গর্ভগৃহে শ্রী শ্রী জয়চন্ডী দেবী ঘটে পূজিত হন। মন্দিরটি পশ্চিম মুখী ও আটচালা। প্রবেশ পথটি তিন খালান। বর্তমানে মন্দিরটি অনেকটা বসে যাওয়ার ফলে ভিত্তিবেদী ভূমি সমতলে এসে গেছে। মন্দিরের সামনেই অলিন্দ। গর্ভগৃহে ঢোকার দুটি প্রবেশ পথ। একটি পশ্চিম দিকে, অপরটি দখিন দিকে। সামনের দিকে অর্থাৎ পশ্চিম দিকের দেয়ালে রয়েছে বর্ণাঢ্য টেরাকোটার কাজ। আর দখিন দিকেও রয়েছে অল্প কিছু টেরাকোটার কাজ। রামায়ণ সহ বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী, সাধারণ মানুষের তৎকালীন জীবন ও বিভিন্ন সাধারণ নকশা-ই টেরাকোটার বিষয়।

দেবী চন্ডী, দূর্গা দেবীর রূপভেদ। তিনি "শক্তি" নামে পরিচিত। মারকেনডেয় পূরানে দেবী চন্ডী শুম্ভ ,নিশুম্ভ দুই দানব এবং চন্ড ও মুন্ডসহ আরোও অনেক কে বধ করেন। চন্ড রূপ ধারণ করে দেব শত্রু দের বধ করেন বলে তাঁর নাম হয় চন্ডী। চন্ডীই যখন ভক্তদের দুর্গতি বিনাশ করেন তখন তাঁকে বলা হয় দূর্গা। আর তাঁর জয় চন্ডী রুপ হ'ল......... তিনি দ্বিভুজা, তিন নয়নী, গৌরবরনা, বরাভয়াহসতা এবং পদ্ম ফুলের উপর দন্ডায়মানা।

উল্লেখিত গ্রামের চিনা বঙশ এই মন্দির টি প্রতিষ্ঠা করেন। এদের পূর্বের পদবী ছিল পাল। এই বঙশের কোনো এক পূর্ব পুরুষকে বর্ধমানের রাজা "চিনা" উপাধি প্রদান করেন। মন্দিরের দখিন দিকের গায়ে যে প্রতিষ্ঠা ফলক রয়েছে তা এসবের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে।

হাওড়া-আরামবাগ রেলপথে -- মায়াপুর ষ্টেশন। এটি আরামবাগের আগের ষ্টেশন। মায়াপুরের ৩ কি মি দূরে হাট বসন্ত পুর। মায়াপুর ষ্টেশন থেকে প্রথমে মুথাডাঙগা। সেখান থেকে টোটো বা বাসে বলরামপুর। আবার সেখান থেকে টোটো তে বা হেঁটে হাট বসন্ত পুর। আরামবাগ বা তারকেশ্বর থেকে বাসেও এখানে আসা যায়।

















No comments:

Post a Comment